,

লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত নবীগঞ্জবাসী :: উৎপাদন সংকটের কারনেই বেড়েছে লোডশেডিং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেক –ডিজিএম

জাবেদ তালুকদার : মানুষের স্বস্তির আশ্বাস যখন বিদ্যুৎ, তখনই নবীগঞ্জে চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। এদিকে বিদ্যুৎের ডিগবাজির ফলে মোবাইল নেটওয়ার্কও অচল হয়ে পড়ে। যার ফলে সাধারণ মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে। গেল মাসে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম হলেও গত কয়েকদিন ধরে তা মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদন সংকটের কারনে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় লোডশেডিংয়ের পরিমানটা বেড়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সাথেও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়না। এ নিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কেবলমাত্র নবীগঞ্জ শহরে নিরবিচ্ছীন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও শহরতলীর পৌর এলাকাসহ গ্রাম্য এলাকাগুলোতে দিনের বেশীরভাগ সময়ই থাকেনা বিদ্যুৎ।
গ্রাহকদের অভিযোগ- আকাশে মেঘের দেখা দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশীরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। যে সামান্য সময় বিদ্যুৎ থাকে তাও স্থির হচ্ছেনা। একবার বিদ্যুৎ এসে ১০-২০ মিনিট থাকলেও এ সময়ের মধ্যে অন্তত ২/৩ বার আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে। দিনের অনেকটা সময় বিদ্যুতের দেখা থাকেনা। সবমিলিয়ে ২-৩ ঘন্টার বিদ্যুৎ পেলেও তা মেলে গভীর রাতে। ঝড়বাদলের রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে আর চালু হওয়ার কোনো আশাই থাকে না। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের একটানা বেহাল দশায় গ্রাহকরা বলছেন বিদ্যুতের ভেলকিবাজি আমাদের সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। বিবেকহীনভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা চলছে বিদ্যুৎের ডিগবাজি।
ঘন ঘন বিদ্যুত আসা যাওয়ার কারণে ফ্রিজ, টেলিভিশন, ফ্যানসহ বিভিন্ন মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অসহ্য গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গ্রাহকরা অকথ্য ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার দাবি করে আসলেও ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে না গ্রাহকদের। ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ না থাকা স্বাভাবিক ঘটনা হলেও, আকাশে মেঘ উঠতেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে নবীগঞ্জে। বিদ্যুৎ না থাকলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলদের মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে ধোঁয়াশা আর ভোগান্তির মধ্যে আছেন নবীগঞ্জবাসী।
এ বিষয়ে পল্লি বিদ্যুৎ নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. ফায়জুল্লাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- জাতীয় উৎপাদন সংকটের কারনেই লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে, নবীগঞ্জে প্রতিদিন আমাদের চাহিদা প্রায় ২৫ মেঘাওয়াট কিন্তু আমাদেরকে ১০ মেঘাওয়াটের চাইতেও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে যেকারনে লোডশেডিংয়ের পরিমাণটা একটু বেশি হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর